Saturday, July 28, 2012

অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে দুর্নীতি-স্বজনপোষনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলুন

অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে দুর্নীতি-স্বজনপোষনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলুন

বন্ধু,
পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠান অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস এখন গভীর সংকটের মুখে। কিছু স্বার্থান্বেষী দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ অ্যাকাডেমিকে ব্যক্তিগত সুবিধাবাদের আখড়ায় পরিণত করেছে। তাই অ্যাকাডেমিকে বাঁচাতে চাই সর্বস্তরের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ।

জাতীয় সম্পত্তি মিউজিয়াম পাঁচবছর বন্ধ রাখা কিসের ইঙ্গিত?

প্রায় পাঁচবছর ধরে ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশে প্রাচীন চিত্র গ্যালারী সহ পুরো মিউজিয়ামের দরজা সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লেডি রাণু মুখার্জীর কণ্যা শ্রীমতি নিতা পিল্লাই গত চার বছর ধরে মিউজিয়ামের অবস্থা দেখতে চেয়েও প্রবেশাধিকার পাননি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় সহ-উপাচার্য রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে বিশ্বভারতী থেকে প্রকাশিত রবীন্দ্র-চিত্র সংকলনের জন্য চেয়েও পাননি রবীন্দ্রনাথের মূল চিত্রের প্রতিলিপি। অথচ মাননীয় চেয়ারম্যান ও জনৈক এগজিকিউটিভ কাউন্সিল মেম্বার যখন তখন মিউজিয়ামে বিভিন্ন অপরিচিত লোকদের নিয়ে প্রবেশ করছেন কাঊকে কিছু না জানিয়ে। এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের জনৈক ভাইস প্রেসিডেন্ট মিউজিয়ামের প্রাচীন অমূল্য চিত্রকলার ছবি তুলে নিজের কাছে রেখে দিচ্ছেন। মিউজিয়ামের নেই কোন ক্যাটালগ।বিভিন্ন অমূল্য চিত্রকলাকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রাইভেট গ্যালারীতে। আমাদের সন্দেহ জনসাধারণের চোখের আড়ালে মিঊজিয়ামকে রেখে দেওয়া হচ্ছে কোন অসাধু উদ্দেশে?

২০০৩ সাল থেকে অডিট, বার্ষিক সাধারণ সভা হয়নি।

২০০৩ সাল থেকে আয় ব্যায়ের কোন অডিট রিপোর্ট নেই।  ফলে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ২০০৩ সালের পর থেকে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের নির্বাচন ও বোর্ড অব ট্রাস্টির পুনর্গঠন হয়নি, অথচ যা অ্যাকাডেমির সংবিধান অনুযায়ী প্রতিবছর হবার কথা। জনৈক চিত্রব্যবসায়ী যিনি মামলা করে অ্যাকাডেমির নির্বাচন হতে দিচ্ছেননা, তিনিই আবার ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যানের মদতে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলে সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে অবৈধভাবে ঢুকে অ্যাকাডেমিকে নিজের ব্যবসার কাজে লাগাচ্ছেন।

গ্যালারী ও অডিটোরিয়াম বন্টনে দুর্নীতি

গ্যালারী ও অডিটোরিয়াম বন্টনের ক্ষেত্রেও চলছে স্বজন পোষন। এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের দুজন ভাইস প্রেসিডেন্ট মিলে তাদের পছন্দের  লোকদেরই কেবল গ্যালারী পাইয়ে দিচ্ছেন। অনেক প্রতিভাবান শিল্পী বঞ্চিত হচ্ছেন। গ্যালারী ও অডিটোরিয়াম বন্টনের ক্ষেত্রে অবৈধ লেন দেনের কানাঘুষোও শোনা যাচ্ছে।

৭৫তম বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী বন্ধ

এরা চক্রান্ত করে ৭৫তম বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী বন্ধ করে দিয়েছেন। যার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। আমাদের আন্দোলনের ফলে ৬ই মার্চ থেকে এই প্রদর্শনী হয়েছে।

সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ
যেসব চিত্র ও নাট্য-ব্যক্তিত্বগণসহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ অ্যাকাডেমির সদস্য তাদের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করতে দেওয়া হচ্ছেনা। অথচ নতুন সদস্য নেওয়া হচ্ছে গোষ্ঠিস্বার্থে বা ব্যক্তি স্বার্থে।

আমাদের আন্দোলনের  ফলে বন্ধ গ্যালারী খুলল, কর্মচারীরা ২০০৪ সালের বকেয়া বেতনক্রম পেলেন
এরা চিত্রপ্রদর্শনীর গ্যালারীও বন্ধ করে দিয়েছিলেন কিন্তু আমাদের আন্দোলনে ভয় পেয়ে গ্যালারী আবার খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে।

এমতবস্থায় অ্যাকাডেমিকে বাঁচাতে আমাদের দাবীঃ

১)মিউজিয়ামের সমস্ত চিত্রকলা প্রভৃতি একশেসান রেজিস্টারের সঙ্গে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারী সংস্থাকে (সি বি আই/ সি আই ডি) দিয়ে মিলিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেগুলির অরিজিনালিটিও এক্সপার্টদের দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে ও সর্বসাধারণের জন্য তা প্রকাশ করতে হবে।
২)অবিলম্বে মিউজিয়ামের দ্বার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দিতে হবে ও সব জিনিসের ক্যাটালগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩)ভানু সিংহের পদাবলী ও রবীন্দ্রনাথের পত্রাবলীর মূল ম্যানুস্ক্রিপ্ট কোথায় গেল তা অবিলম্বে জানাতে হবে।
৪) মিউজিয়ামের কোন সামগ্রী নস্ট থাকলে বা অপহৃত হয়ে থাকলে তার জন্য যে বা যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫)গ্যালারী বা অডিটোরিয়াম বন্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ কমিটি তৈরী করতে হবে।
৬)অবিলম্বে আয় ব্যায়ের অডিট করিয়ে তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করতে হবে।
৭) সমস্ত সদস্যদের পদ রিনিউয়্যাল করার সুযোগ দিতে হবে। সব দুর্নীতিগ্রস্তদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

বন্ধুগণ, এমতবস্থায় আসুন আমরা সবাই মিলে এই জাতীয় সম্পদ অ্যাকাডেমিকে কায়েমী-স্বার্থান্বেসীদের হাত থেকে বাঁচাতে একত্রিত আন্দোলন গড়ে তুলি।

অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস বাঁচাও কমিটি
যোগাযোগঃ ৯১ – ৯৮৩১৮০১৬৫৩/ ৯৪৩৩১১৯৫৩৬

The photo credit: Albert Ashok
The blog is posted by Albert Ashok





























You can read the website address given below for the history of Academy of fine Arts, Kolkata  http://academyoffinearts.orga.in/index.php
 















































অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে দুর্নীতি-স্বজনপোষনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলুন।

বন্ধু,
পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠান অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস এখন গভীর সংকটের মুখে। কিছু স্বার্থান্বেষী দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ অ্যাকাডেমিকে ব্যক্তিগত সুবিধাবাদের আখড়ায় পরিণত করেছে। তাই অ্যাকাডেমিকে বাঁচাতে চাই সর্বস্তরের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ।

জাতীয় সম্পত্তি মিউজিয়াম পাঁচবছর বন্ধ রাখা কিসের ইঙ্গিত?

প্রায় পাঁচবছর ধরে ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশে প্রাচীন চিত্র গ্যালারী সহ পুরো মিউজিয়ামের দরজা সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লেডি রাণু মুখার্জীর কণ্যা শ্রীমতি নিতা পিল্লাই গত চার বছর ধরে মিউজিয়ামের অবস্থা দেখতে চেয়েও প্রবেশাধিকার পাননি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় সহ-উপাচার্য রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে বিশ্বভারতী থেকে প্রকাশিত রবীন্দ্র-চিত্র সংকলনের জন্য চেয়েও পাননি রবীন্দ্রনাথের মূল চিত্রের প্রতিলিপি। অথচ মাননীয় চেয়ারম্যান ও জনৈক এগজিকিউটিভ কাউন্সিল মেম্বার যখন তখন মিউজিয়ামে বিভিন্ন অপরিচিত লোকদের নিয়ে প্রবেশ করছেন কাঊকে কিছু না জানিয়ে। এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের জনৈক ভাইস প্রেসিডেন্ট মিউজিয়ামের প্রাচীন অমূল্য চিত্রকলার ছবি তুলে নিজের কাছে রেখে দিচ্ছেন। মিউজিয়ামের নেই কোন ক্যাটালগ।বিভিন্ন অমূল্য চিত্রকলাকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রাইভেট গ্যালারীতে। আমাদের সন্দেহ জনসাধারণের চোখের আড়ালে মিঊজিয়ামকে রেখে দেওয়া হচ্ছে কোন অসাধু উদ্দেশে?

২০০৩ সাল থেকে অডিট, বার্ষিক সাধারণ সভা হয়নি।

২০০৩ সাল থেকে আয় ব্যায়ের কোন অডিট রিপোর্ট নেই।  ফলে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ২০০৩ সালের পর থেকে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের নির্বাচন ও বোর্ড অব ট্রাস্টির পুনর্গঠন হয়নি, অথচ যা অ্যাকাডেমির সংবিধান অনুযায়ী প্রতিবছর হবার কথা। জনৈক চিত্রব্যবসায়ী যিনি মামলা করে অ্যাকাডেমির নির্বাচন হতে দিচ্ছেননা, তিনিই আবার ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যানের মদতে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলে সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে অবৈধভাবে ঢুকে অ্যাকাডেমিকে নিজের ব্যবসার কাজে লাগাচ্ছেন।

গ্যালারী ও অডিটোরিয়াম বন্টনে দুর্নীতি

গ্যালারী ও অডিটোরিয়াম বন্টনের ক্ষেত্রেও চলছে স্বজন পোষন। এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের দুজন ভাইস প্রেসিডেন্ট মিলে তাদের পছন্দের  লোকদেরই কেবল গ্যালারী পাইয়ে দিচ্ছেন। অনেক প্রতিভাবান শিল্পী বঞ্চিত হচ্ছেন। গ্যালারী ও অডিটোরিয়াম বন্টনের ক্ষেত্রে অবৈধ লেন দেনের কানাঘুষোও শোনা যাচ্ছে।

৭৫তম বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী বন্ধ

এরা চক্রান্ত করে ৭৫তম বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী বন্ধ করে দিয়েছেন। যার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। আমাদের আন্দোলনের ফলে ৬ই মার্চ থেকে এই প্রদর্শনী হয়েছে।

সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ
যেসব চিত্র ও নাট্য-ব্যক্তিত্বগণসহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ অ্যাকাডেমির সদস্য তাদের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করতে দেওয়া হচ্ছেনা। অথচ নতুন সদস্য নেওয়া হচ্ছে গোষ্ঠিস্বার্থে বা ব্যক্তি স্বার্থে।

আমাদের আন্দোলনের  ফলে বন্ধ গ্যালারী খুলল, কর্মচারীরা ২০০৪ সালের বকেয়া বেতনক্রম পেলেন ।
এরা চিত্রপ্রদর্শনীর গ্যালারীও বন্ধ করে দিয়েছিলেন কিন্তু আমাদের আন্দোলনে ভয় পেয়ে গ্যালারী আবার খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে।

এমতবস্থায় অ্যাকাডেমিকে বাঁচাতে আমাদের দাবীঃ

১)মিউজিয়ামের সমস্ত চিত্রকলা প্রভৃতি একশেসান রেজিস্টারের সঙ্গে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারী সংস্থাকে (সি বি আই/ সি আই ডি) দিয়ে মিলিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেগুলির অরিজিনালিটিও এক্সপার্টদের দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে ও সর্বসাধারণের জন্য তা প্রকাশ করতে হবে।
২)অবিলম্বে মিউজিয়ামের দ্বার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দিতে হবে ও সব জিনিসের ক্যাটালগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩)ভানু সিংহের পদাবলী ও রবীন্দ্রনাথের পত্রাবলীর মূল ম্যানুস্ক্রিপ্ট কোথায় গেল তা অবিলম্বে জানাতে হবে।
৪) মিউজিয়ামের কোন সামগ্রী নস্ট থাকলে বা অপহৃত হয়ে থাকলে তার জন্য যে বা যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫)গ্যালারী বা অডিটোরিয়াম বন্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ কমিটি তৈরী করতে হবে।
৬)অবিলম্বে আয় ব্যায়ের অডিট করিয়ে তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করতে হবে।
৭) সমস্ত সদস্যদের পদ রিনিউয়্যাল করার সুযোগ দিতে হবে। সব দুর্নীতিগ্রস্তদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

বন্ধুগণ, এমতবস্থায় আসুন আমরা সবাই মিলে এই জাতীয় সম্পদ অ্যাকাডেমিকে কায়েমী-স্বার্থান্বেসীদের হাত থেকে বাঁচাতে একত্রিত আন্দোলন গড়ে তুলি।

অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস বাঁচাও কমিটি

যোগাযোগঃ ৯১ – ৯৮৩১৮০১৬৫৩/ ৯৪৩৩১১৯৫৩৬



No comments:

Post a Comment